জৈতুন বা জলপাই তেল মানবস্বাস্থ্যের জন্য আল্লাহর এক অনন্য উপহার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে খাদ্য, চিকিৎসা, ও ত্বকের যত্নে। আমাদের সুন্নাহ ভেষজের জৈতুন তেল তৈরি হয় ১০০% প্রাকৃতিক, ঠান্ডা পদ্ধতিতে (Cold Pressed) নিষ্কাশিত খাঁটি জলপাই থেকে। এতে কোনো রাসায়নিক, রং বা প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না।
এই তেল শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না — এটি শরীর, মন ও ত্বকের যত্নে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। এটি নবী করিম ﷺ এর প্রিয় তেলগুলোর অন্যতম, এবং কুরআনে আল্লাহ তাআলা এই তেলের প্রশংসা করেছেন —
“তিনিই উৎপন্ন করেছেন সেই গাছ যা সিনাই পর্বত থেকে বের হয়, যা থেকে তৈল উৎপন্ন হয় এবং যা ভক্ষণকারীদের জন্য উপকারী।”
(সূরা আল-মুমিনূন: ২০)
উৎপাদন প্রক্রিয়া
আমাদের জৈতুন তেল তৈরি হয় মধ্যপ্রাচ্য ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বাছাইকৃত জলপাই থেকে। ফসল সংগ্রহের পর কোনো তাপ ব্যবহার না করে ঠান্ডা পদ্ধতিতে (Cold Press Extraction) এর তেল বের করা হয়।
এই পদ্ধতিতে জলপাইয়ের সব প্রাকৃতিক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এনজাইম অক্ষুণ্ণ থাকে। তারপর এটি বিশুদ্ধ গ্লাস বোতলে ভরে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়, যাতে তেলের ঘ্রাণ, রঙ ও গুণ একদম অরিজিনাল অবস্থায় থাকে।
বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা
-
কোনো রাসায়নিক বা সংরক্ষণকারী নেই
-
কোল্ড প্রেস পদ্ধতিতে প্রস্তুত
-
ফুড-গ্রেড গ্লাস বোতলে প্যাকেজড
-
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাব টেস্টেড
-
১০০% বিশুদ্ধ Extra Virgin Olive Oil
আমরা প্রতিটি ব্যাচ টেস্ট করি যেন এতে কোনো অশুদ্ধতা না থাকে। তুমি নিশ্চিন্তে এই তেল খাদ্য, শরীর বা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারবে।
পুষ্টিগুণ
জৈতুন তেলে রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান, যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য —
-
মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট: এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়।
-
ভিটামিন E: শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা কোষকে সুরক্ষা দেয়।
-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস: প্রদাহ ও বয়সজনিত সমস্যায় সহায়তা করে।
-
পলিফেনলস: হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
এই তেল শরীরে শক্তি যোগায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, ত্বক উজ্জ্বল করে এবং হজমে সাহায্য করে।
জৈতুন তেলের উপকারিতা
১. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়
জৈতুন তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তনালিকে মজবুত করে।
২. ত্বক ও চুলের যত্নে
এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, শুষ্কতা দূর করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। নিয়মিত মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে চুল পড়ে যাওয়া কমে, খুশকি দূর হয় এবং চুল মজবুত হয়।
৩. হজম ও লিভারের উন্নতিতে
খালি পেটে এক চামচ জৈতুন তেল খেলে হজমশক্তি বাড়ে, লিভার পরিষ্কার থাকে এবং গ্যাস-অম্লতা কমে।
৪. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
জৈতুন তেল শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ঠান্ডা-জ্বর, সংক্রমণ ও প্রদাহ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫. সুন্নাহ অনুযায়ী ব্যবহার
নবী করিম ﷺ বলেছেন:
“তোমরা জৈতুন তেল খাও এবং এটি শরীরে লাগাও, কারণ এটি বরকতময় বৃক্ষ থেকে আসে।”
(তিরমিজি: ১৮৫১)
ব্যবহারের উপায়
খাদ্যে:
-
সালাদ, পাস্তা, ডাল, ভাত বা সবজিতে কাঁচা জৈতুন তেল ছিটিয়ে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
-
রান্নায় হালকা তাপে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিকিৎসায় ও যত্নে:
-
সকালে খালি পেটে এক চা-চামচ তেল পান করুন।
-
ত্বক বা মুখে রাতে ঘুমানোর আগে লাগান।
-
মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
সংরক্ষণ নির্দেশনা
তেল সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন। শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন। ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ রাখলে তেলের গুণ ১৮ মাস পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ থাকে।
কেন সুন্নাহ ভেষজের জৈতুন তেল বেছে নেবেন
-
১০০% কোল্ড প্রেসড ও রাসায়নিকমুক্ত
-
কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী খাদ্য
-
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও হালকা স্বাদের
-
স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য ও চিকিৎসায় বহুমুখী ব্যবহার
-
ল্যাব-টেস্টেড বিশুদ্ধতা ও সুরক্ষা


Reviews
There are no reviews yet.